জেনে নিই ডিটিএইচ কি এবং কিভাবে কাজ করে?

ডিটিএইচ কথাটার অর্থ হলো ডাইরেক্ট টু হোম। অর্থাৎ মানে থেকেই বুজতে পারছেন আপনি সরাসরি বাড়িতে স্যাটেলাইট কানেকশন করতে পারবেন। কেবল কানেকশনের মত বা ব্রডব্যান্ড কানেকশনের মত তার কা কেবল টানাটানির ঝামেলা নেই।

কিভাবে কাজ করে?

মুলত: এই সেবাটি দিয়ে থাকে বিভিন্ন স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে। ভু-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কি.মি. উচ্চতায় এটি স্থাপন করা হয়। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট অক্ষাংশে স্থাপনের জন্য কিছু কম্পানী কাজ করে থাকে। এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর গতির সাথে তাল মিলিয়ে একই অবস্থান ঠিক রেখে ঘুরতে থাকে। এর মেয়াদ থাকে সাধারনত: ১৫-২০ বছর। এবং এর শিক্তর যোগান দেয় মুলত সোলার প্যানেল। একটি স্যাটেলাইটে কাজের ধরণ অনুযায়ী থাকে বিভিন্ন ট্র্যান্সপন্ডার। যাকে আমরা সহজে টিপি বলে থাকি।

ভু-পৃষ্ঠে অবস্থিত কোন কম্পানী বা সরকার একটি বড় ডিসের মাধ্যমে তাদের সংকেত কে একটি তরঙ্গ আকারে স্যাটেলাইটে প্রেরন করেন। যাকে বলা হয় গ্রাউন্ড স্টেশন। যা কিনা কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে। এই সিগন্যাল স্যালোইট গ্রহন করে আবার পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয় একটি টর্চের আলোর মত। যেহেতু অনেক উপরে থাকে এই স্যাটেলাইট তাই পৃথিবীর অনেক অংশ কভারেজ করা সম্ভব হয়। স্যাটেলাইট স্থাপন বিশেষজ্ঞরা স্যাটেলাইট স্থাপনের সময় নিয়ন্ত্রন করেন পৃথিবীর কোন অংশ কতটুকু কভারেজ হবে। অবশ্য তার অবস্থান অনুযায়ী।

আমরা কিভাবে এই সিগন্যাল গ্রহন করি

মুলত: এই সিগন্যাল চোখে দেয়া যায় না। কিন্তু কোন গাছ কোন কঠিন বস্তু কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়। ঠিক আয়নায় যেমন আলো পড়লে ফিরে যায়। এই সিগন্যাল এর ঘনত্ব কিন্তু খুব কম থাকে। আর এর জন্যই এমন একটি ব্যবস্থা করা হয় যেন অনেক খানি স্থানের সিগন্যালকে একত্রে করে এর ঘনত্ব বৃদ্ধি যায়। যেমন বড় একটি লেন্সকে রৌদ্রে ধরলে একটি ফোকাস বিন্দু পরে। তাই ব্যবহার করা হয় একটি ডিস যাকে আমরা ছাতা বলে থাকি। একটি ছাতা মুলত: একটি অবতল লেন্সের মত যার উপর এই সিগন্যাল পরে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। এই মিলিত বিন্দুটি মুলত: এলএনবি এর উপর ফেলা হয়। এলএনবি এই সিগন্যালকে রিসিভ করে রিসিভারে প্রেরন করে। এবার আপনার রিসিভার এই সিগন্যালকে ভিডিওতে পরিনত করে টিভিতে শো করে। যা আমরা দেখতে পাই

This entry was posted in Letest News and tagged , , , , , . Bookmark the permalink.