শিক্ষার উদ্যেশ্য
হরষিত মন্ডল
সিনিয়র শিক্ষক
আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়
শিক্ষা কি? “শিক্ষা হল আচরনের স্থায়ী পরিবর্তন”। আচরনের পরিবর্তন করতে প্রয়োজন শিক্ষা। আচরনের পরিবর্তন করতে প্রকৃত মানুষ হতে হয়। মানুষ হিসেবে জন্ম গ্রহন করলেই আমরা প্রকৃত মানুষ নই। কারন পশু তার
পশুত্ব নিয়ে জন্মগ্রহন করে বলেই সে পশু। কিন্তু মানুষ মনুষ্যত্ব অর্জন করে না তাই সে মানুষ নয়। “মনুষ্যত্ব” অর্জন করতে হয়। “মনুষ্যত্ব”অর্জন করতে হলে তাকে পাঁচটি গুনের অধিকারী হতে হয়। মনুষ্যত্বের পাঁচটি গুন লক্ষন হল- চুরি না করা, শুচি থকা, হিংসা না করা, সংযমি হওয়া এবং সত্যাশ্রয়ী হওয়া। গুন পাঁচটির ব্যখ্যা হল-চুরি না করা- অর্থাৎ অপরের দ্রব্য না বলে নেওয়াই চুরি করা। শুচি থাকা- অর্থাৎ পোষাক-পরিচ্ছদে পরিস্কার থাকা নয় এর সাথে মনের ভিতর পরিস্কার থাকা। হিংসা না করা- অর্থাৎ অহিংসা অর্থ জীবকে হিংসা না করা, মানুকে ভালোবাসা, মানুষকে শ্রদ্ধা করা, মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দেওয়া, এইতো অহিংসা। সংযমি হওয়া-অর্থাৎ কাম,ক্রোধ,লোভ থেকে বিরত থাকা। সত্যাশ্রয়ী হওয়া- অর্থাৎ সদা সত্য কথা বলা। সমস্ত গুন অর্জন করতে হলে সত্যাশ্রয়ী হতে হবে। আর এই গুন গুলো অর্জন করলে মানুষের “মনুষ্যত্ব” অর্জন হয়। মানুষ পরিনত হয় প্রকৃত মানুষে। মানুষের আচরনের স্থায়ী পারবর্তন ঘটে এবং শিক্ষার প্রকৃত উদ্যেশ্য সফল হয়।